মোঃ রেজাউল করিম খান
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরন) বিধিমালা ভঙ্গ করে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে প্রার্থীকে নিয়ে গনসংযোগ, চাস্টলে মিটিং, প্রকাশ্যে বক্তৃতাসহ নির্বাচনী প্রার্থীকে নিয়ে ভোট চাইছেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন।
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরন) বিধিমালা-২০১৬ আইন ভঙ্গ করে একজন সরকারি কর্মচারীর এমন কর্মকান্ডে প্রতিন্দন্দ্বি প্রার্থীদের মধ্য নির্বাচনী আচরন বিধি নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। সরকারি আইন অনুযায়ী এই কর্মচারী বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান নির্বাচনী প্রতিন্দন্দ্বী প্রার্থীরা।
উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরন) বিধিমালা-২০১৬তে উল্লেখ আছে, সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি বা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নির্বাচন পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারনা বা নির্বাচনী কার্যক্রম করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, সরকারি কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনী এলাকায় ভোটার হলে ঐ কর্মকর্তা-কর্মচারী শুধু ভোট প্রদান করতে পারবেন।
কিন্তু সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৬ এপ্রিল ২০২৪), শুক্রবার উপজেলা নির্বাচনের আচরন বিধি ভঙ্গ করে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী জামাত আলী মুন্সিকে নিয়ে মেছড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন হাটবাজারে সমাবেশে বক্তৃতা, প্রচারনা ও বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করে আসছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে কর্মরত স্যানিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল্লাহ আল মামুন এবিষয়ে বলেন, আমি মেছড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি। নৌকা প্রতিক না থাকায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা যেকোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারে। নির্বাচনে প্রচারনায় কোন আচারন বিধি ভঙ্গ হচ্ছে না।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: জাহিদুল ইসলাম জানান, আজ শুক্রবার। ছুটির দিনে কর্মচারী অপরাধ করলে আমি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারব না।
সিরাজগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জানান, নির্বাচনী এলাকায় কোন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ভোট প্রার্থনা সহ নির্বাচনী প্রার্থীর পক্ষে কোন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না। সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা নির্বাচনী প্রার্থীর কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহন করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব।