ধর্মীয় সংবাদঃ
যে কোন মুসলিম যে নিম্নোক্ত বৈশিষ্টের অধিকারী তার জন্য মহান আল্লাহ রমযানের রোযা ফরয করেছেন। যেমন-
১. আকেল বা পাগল নয় এমন
২. বালেগ
৩. সুস্থ
৪. মুকীম বা মুসাফির নয়
পবিত্র কুরআনের আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন,
‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের প্রতি রোজা ফরয করা হয়েছে, যেমন তোমাদের আগের লোকেদের প্রতি ফরজ করা হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার। এ আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি আমাদের পুর্ববর্তী উম্মতের উপরও রোজা ফরয ছিল।’ (সূরা বাকারা;১৮৩)
তবে রোজার অভ্যাস করার জন্য আট বছর বয়স থেকে রোজা রাখা যেতে পারে। যাতে করে সে যখন বালেগ হবে রোজা রাখা তার জন্য যেন কঠিন না হয় বা রোযা রাখাকে যেন সে ভয় না পায়।
অসুস্থ অবস্থায় রোযা রাখার বিধান
অসুস্থ অবস্থায় বা সফর অবস্থায় রোজা না রাখার সুযোগ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দিয়েছেন। তবে যে কয়টি রোজা ভঙ্গ করবে বা রাখবে না; সুস্থ অবস্থায় সে কয়টি রোজা পরবর্তীতে আদায় করে নেবে। আর যদি অসুস্থ ব্যক্তি এমন অসুস্থ হয় বা অসুস্থতা এমন বৃদ্ধ বয়সে হয় যে তার আর সুস্থ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই তাহলে প্রত্যেকটি রোজা না রাখার কারণে একজন করে মিসকিনকে মধ্যম পন্থায় খাইয়ে দিবে। অর্থাৎ সে যা খায় মিসকিনকে তাই খেতে দিবে।
কোন অসুস্থ ব্যক্তি যদি রোজা রাখার কারণে তার রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে বা তার জীবনের প্রতি হুমকি থাকে তাহলে সে রোজা রাখবে না। কেননা আল্লাহ পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন,
‘আর তোমরা নিজ হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসে নিক্ষেপ করো না এবং কল্যাণকর কাজ করে যাও, নিশ্চয়ই আল্লাহ কল্যাণকারীদেরকে ভালবাসেন।’ (সূরা বাকারা: ১৯৫)
লেখক: প্রফেসর ড. রফিকুর রহমান মাদানী
চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়