সাব্বির মির্জা তাড়াশ প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ধাপ-ওয়াশীন উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক কর্তৃক পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবীতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবেদিত ৫ প্রার্থী।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন গ্রামের মো. আব্দুল সালামের ছেলে মো. লিখন আহমেদ, আবুল কালামের ছেলে মো. আবু হাসেম, মো. আকবার হোসেনের ছেলে মো. ফিরোজ আহমেদ, মো. ছালামের ছেলে মো. নাঈম হোসেন ও রফিকুল ইসলামের মেয়ে মোছা. রোজিনা খাতুন প্রথম দফায় আয়া ও পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে গত ১২ /০৭/২০২৩ তারিখে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন। পরে সে দফায় নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত হলে আবারো ৩০/১০/২০২৩ তারিখে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হলে তখনও তারা ওই পদে আবেদন করেন। এ দফায়ও পরীক্ষা স্থগিত হয়। এরপর ০৫/০২/২০২৪ তারিখে তৃতীয় দফায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে সেখানেও তারা ওই পদে চাকুরির জন্য আবেদন করেন। তাদের সাথে ওই তারিখের বিজ্ঞপ্তিতে একই গ্রামের মো. জামাল উদ্দিনের ছেলে সুমন আহমেদ পরিচ্ছন্ন কর্মী পদে আর আয়া পদে আবেদন করেন তৈয়ব আলীর স্ত্রী মৌসুমি খাতুন।
আবেদনের তারিখ ২০/০২/২০২৪ তারিখে শেষ হলে ওই বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক আগামী ০৪/০৫/২০২৪ তারিখে নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও মাধাইনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাবিলুর রহমান হাবিব ও প্রধান শিক্ষক নূর- মোহাম্মদ যোগসাজশে পরিচ্ছন্ন কর্সী পদে মো. সুমন আহমেদ এবং আয়া পদে মৌসুমি খাতুনকে ২৪ লাখ টাকা উৎকোচের বিনিময়ে তরিঘড়ি করে নিয়োগ দেওয়ার পায়তারা করছেন। যে বিষয়টি এলাকার সাধারণ জনগণের এখন মূখে মূখে শোনা যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষিতে ওই পরিচ্ছন্ন কর্মী ও আয়া পদে আবেদনকারী ৫ প্রার্থী উৎকোচের বিনিময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ বন্ধের দাবীতে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূর মোহাম্মদ বলেন, পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনকারী ব্যক্তিেকই নিয়োগ দেয়া হবে। টাকা লেনদেনের কোন প্রশ্নই ওঠে না।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাবিলুর রহমান হাবিব উৎকোচের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগ হবে। যে পরীক্ষায় ভাল করবে তাকেই নিয়োগ দেয়া হবে।
অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম বলেন, নিয়োগ দেওয়ার পরিবেশ তৈরী হলে নিয়োগ হবে।
এ প্রসঙ্গে নিয়োগ কমিটির ডিসির প্রতিনিধি ও সহকারী কমিশনার ( ভুমি) মো. খালিদ হাসান বলেন, অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।