সাব্বির মির্জা, ( তাড়াশ)প্রতিনিধিঃ
বছর খানেক আগে বাড়িতেই শখের বশে হাঁস পালন শুরু করেন মো. নাজির হোসেন। শুরু থেকে লাভের মূখ দেখতে থাকেন তিনি। ফলে তিনি হাঁসের সংখ্যা দিন দিন বাড়াতে থাকেন। এখন তার হাঁসের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিন হাজার। গড়ে তুলেছেন হাঁসের খামার। যে খানে কর্মরত রয়েছেন দু,জন শ্রমিক। যারা সারাক্ষণ দেখাশোনা করেন খামারের হাঁস গুলো ।
মো. নাজির হোসেন বর্তমানে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তালম ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য। তিনি ওই ইউনিয়ের চৌড়া গ্রামের বাসিন্দা। ইউপি সদস্য হিসেবে জনসেবার পাশাপাশি তিনি ওই হাঁসের খামারটি গড়ে তুলেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, নাজির হোসেন তাঁর খামারে শ্রমিকদেন পাশাপাশি তিনি নিজেও হাসিমাখা মুখে ক্ষুধার্ত হাঁসগুলোকে খাবার দিচ্ছেন। খাবার নিয়ে আসলে সাথে সাথে সবগুলো হাঁস তাকে ঘিরে ধরে। খাবার দেয়ার পাশাপাশি হাঁসের পরিচর্চায় করে থাকেন তিনি।
কথা হয খামারের মালিক নাজির হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, বছর খানেক আগে বাড়িতেই কিছু হাঁস পালনের জন্য ছোট্ট একটা খামার শুরু করি। বছর ঘুরতেই বেশ লাভের মূখও দেখতে পাই। তারপর হাঁস পালনে ঝুঁকে পড়ি এবং গড়ে তুলি অাড়াই বিঘা জমির উপর একটি খামার। বর্তমানে খামারে ছোট – বড় মিলে সাড়ে তিন হাজার হাঁস রয়েছে। বড় হাঁস গুলো প্রতি দিনই ডিম দিচ্ছে। আর ওই হাঁস গুলো দেখাশোনার জন্য দুই জন লোক সার্বোক্ষনিক নিয়োজিত রয়েছেন।
প্রথম দিকে শখ করে কিছু হাঁস পালন করলেও এখন এই হাঁস পালনেই সংসারে স্বচ্ছলতা অনেকটাই ফিরে এসেছে। হাঁসগুলোকে ধান ও গমের কুড়া খাওয়ানো হয়। কারণ ধান- গম খাওয়ালে হাঁস বেশি ডিম দেয়। তারপর মাঝে মধ্যে খাল-বিলে ছেড়ে দেওয়া হয় । তখন ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। তবে হাঁসের খাদ্যে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। সরকারী বেসরকারী ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে তিনি হাঁসের খামারটি আরো বড় করতে পারবেন। সেই সাথে মাংস ও ডিমের চাহিদার অনেক খানি মিটবে বলে তিনি জানান।
তাড়াশ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ( অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রাপ্ত) ডা. ওয়ালিউল্লাহ বলেন, হাঁস পালন খুব লাভজনক। খুব অল্প খরচেই হাঁস পালন সম্ভব। খাদ্য হিসেবে ধান ও চালের কুঁড়া দেওয়া যায়। আবার বাইরে ছেড়ে দিলে ঘুরে ঘুরে খাবার খায়। হাঁস ৫ মাস বয়সেই ডিম পাড়ে। তাই খুব অল্প খরচে ও স্বল্প সময়েই হাঁস পালনে লাভবান হওয়া যায়।