সাব্বির মির্জা, (তাড়াশ) প্রতিনিধি:
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধিন্যাস্ত তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ রাশিদুল ইসলামের সুযোগ্য নেতৃত্বের ফলে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে উপজেলার আট ইউনিয়নের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইউনিয়নের স্বীকৃতি পেয়েছে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন। কিশোর-কিশোরী প্রজনন স্বাস্থ্য সেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক কার্যক্রম জোরদার করন সহ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রমে এগিয়ে তাড়াশ সদর ইউনিয়ন।
এ ছাড়াও মা ও শিশু স্বাস্থ্য বিষয়ক অগ্রগতি, গর্ভবতী মায়েদের সেবাদান ও প্রতি মাসে প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রতি মাসে চারটি স্যাটেলাইট ক্লিনিক পরিচালনা করা হয় এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে উঠান বৈঠকের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতামূলক বার্তা ও সেবা প্রদান করা হয়। এসব কার্যক্রম দক্ষতার সাথে সম্পাদন করার জন্য শ্রেষ্ঠ ইউনিয়নের স্বীকৃতি পেয়েছেন তাড়াশ সদর ইউনিয়ন এবং শ্রেষ্ঠ পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক হয়েছেন একই ইউনিয়নের মোঃ রাশিদুল ইসলাম।
এসব সেবা মূলক কাজে তাকে সহায়তা করে যাচ্ছেন ইউনিয়নে কর্মরত প্রান্তিক পর্যায়ে, স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার কল্যান সহকারী, পরিবার কল্যান পরিদর্শীকা সহ আরো অনেকে। সদর ইউনিয়নের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে যথাক্রমে ফেব্রুয়ারী মাসের পার্ফরমেন্স অনুযায়ী জন্ম নিবন্ধন হয়েছে ৪৫ দিনের মধ্যে ১৩৫.৫% এবং মৃত্যু নিবন্ধন হয়েছে প্রায়-১৮৪.২% যা মোট জনসংখ্যার অনুপাতে প্রশংসনীয়। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বর্তমান সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্দেশ্যে সব নাগরিকের একটি শুদ্ধ ডেটাবেস প্রস্তুতকরণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন তথ্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পদক্ষেপ হিসেবে, সবার জন্ম নিবন্ধন করতে ২০১০ সাল থেকে অনলাইন জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। সারাদেশে সরাসরি জন্ম নিবন্ধনের পাশাপাশি অনলাইনেও নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। শুধু অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন আবেদন ও সনদ ডাউনলোডই নয়, জন্ম নিবন্ধন যাচাইও করা যায় সহজেই। এখন যে কেউ মোবাইলে ‘জন্ম তথ্য যাচাই’ অ্যাপস ব্যবহার করে জন্ম নিবন্ধন অনলাইন কপি যাচাই করে দেখতে পারেন। সরকারের এমন যুগান্তকারী উদ্যোগে বন্ধ হয়েছে দ্বৈত নিবন্ধন কার্যক্রম।পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মোঃ রাশিদুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ সদর ইউনিয়ন কে একটি স্মার্ট ও ডিজিটাল তথ্যসমৃদ্ধ ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি, এই সাফল্য তারই একটি অংশ। এ ছারা কোনো কাজই সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। সবাই সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এলে কোনো কাজই কঠিন থাকে না। কাজের স্বীকৃতি পেয়ে আমি সত্যি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন, তাড়াশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আনিছুর রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে মা ও শিশু জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন কার্যক্রম তরান্বিত হচ্ছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক (উপসচিব) মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, মা ও শিশু জন্ম মৃত্যুর নিবন্ধন কার্যক্রম সফলতার সাথে পরিচালনা করার জন্য তাড়াশ সদর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ সহ সকল কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ও এর গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।