সাব্বির মির্জা,(তাড়াশ) প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে নিখোঁজের ৭ দিন পর সেফটিক ট্যাংকের মধ্য থেকে অপহ্নত মাদ্রসার ছাত্র
মারুফ হাসানের (১২) মরদেহ উদ্ধার করেছে র্যাব-১২ এর সদস্যরা। এঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচ যুবককে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর হেডকোয়াটারে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-১২ অধিনায়ক মো: মারুফ হোসেন।
আটককৃতরা হলেন, আবুল হাশেম, রফিকুল ইসলাম, আল-আমিন, ওমর ফারুক ও কাউসার হোসেন। তাদের বাড়ি তাড়াশ উপজেলায়।
নিহত মারুফ হাসান, তাড়াশ উপজেলার ধামাই নগর ইউনিয়নের ঝুরঝুরি গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব অধিনায়ক বলেন, গত ৫ এপ্রিল (শুক্রবার) দুপুরে মাদ্রসার ছাত্র মারুফ হাসান নিজ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত সে বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি শুরু করে। মারুফ হাসানকে না পেয়ে তার বাবা মোশারফ হোসেন ওই দিন রাতে তাড়াশ থানায় সাধারন ডায়রী করেন।
এর পর র্যাব-১২ এর সদস্যরা মারুফ হাসানকে উদ্ধারে অভিযান চালায়। মারুফকে অপহরন করা হয়েছে এই সন্দেহে তাড়াশ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে আবুল হাশেম, রফিকুল ইসলাম, আল-আমিন নামে তিন যুবককে আটক করে র্যাব সদস্যরা। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ ১১ এপ্রিল ভোরে তাড়াশ থানার ঝুরঝুরি বাজারে তালুকদার মার্কেটের পিছনে সেফটিক ট্যাংকের ভিতর থেকে অপহ্নত মাদ্রসার ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে অপহরনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওমর ফারুক ও কাউসার হোসেন নামে আরো দুই যুবককে আটক করে র্যাব সদস্যরা। কি কারনে মাদ্রসার ছাত্রকে অপহরন করে হত্যা করা হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে র্যাব। এঘটনায় তাড়াশ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।