লিমন খান কাজিপুর প্রতিনিধি:
কাজিপুরে সঙ্গবদ্ধ কিশোরদের মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে । গত মঙ্গলবার কাজিপুর উপজেলার ছালাভরা কুনকুনয়া (কসাইপাড়া) গ্রামের ছাগল ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে নুরু মিয়া চাচার বাড়ি থেকে ভুট্টা খেতের আল দিয়ে আসার সময় সঙ্ঘবদ্ধ কয়েক কিশোরকে পলিথিনে ঘাম সেবনে দেখে ফেলে, পরে তাদের বাধা দেওয়ায় কিশোরদের হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন নুরু ও তার পরিবার। এ বিষয়ে নুরুল বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৬ এপ্রিল জাহাঙ্গীর ও তার স্ত্রীকে ছাগল বিক্রির কথা বলে ডেকে নিয়ে মারধর করে তাদের। পরে জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগে একই গ্রামের সোহেল রানা (২৮) সুজন (২৫) শফিকুল ইসলাম (২২) সুলতান হোসেন (৪৭) জেলদার সোসেন (৬৫) বকুল সোসেন (৩৬) সহ অজ্ঞাত আরো চার থেকে পাঁচজনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে নুরু বলেন, চাচার বাড়ি থেকে আসার সময় ভুট্টার ক্ষেতের পাশে ঘাম সেবন করতেছিল ছেলে পেলেরা । আমি দেখে ফেলাই আমার উপরে ক্ষিপ্ত হয়ে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় আমার সারা শরীরে কিল ঘুষি এবং ঘাড়ে কামড় বসিয়ে আমাকে জখম করে। ওখান থেকে কোন রকম প্রাণে বেঁচে ফিরে এসেছি। আমাদের এলাকায় প্রতিদিনই সন্ধ্যায়, গ্রামের বিভিন্ন স্থানে এমন ভাবেই নেশা করে বেড়ায়। কেউ কিছু বলতে গেলেই মারধরের শিকার হয়।
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গতকাল সকালে ৩৯ হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে বছিরের ছাগল কিনতে যাই। একই সাথে স্থানীয় মুরুব্বীদের ছেলেকে মারার বিচার চাওয়ায়, মাদক সেবী ও তার পরিবারদের সাথে নিয়ে আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মেরে আহত করে।প্রতিবেশী শাহাদত আমাদের বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকে মাথায় লাঠি দিয়ে বারিদিয়ে মাথা ফেটে দেয় তাকে। আমাদের কাছে থাকা টাকাও ছিনিয়ে নেয়। আমার স্ত্রী গুরুতর আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। চোখে ও মাথায় মারাত্মকভাবে যখন করেছে তারা। আমি এর সঠিক বিচার চাই।
এ বিষয়ে বিবাদীদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে কাজিপুর থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল মজিদ জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।