লিমন খান কাজিপুর প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পাঁচগাছি (তাতুয়াহাটা) সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা পর সংযোগ সড়ক পেলেও তাতে রয়ে গেল প্রতিবন্ধকতা । ৫ বছর আগে পাঁচগাছি সেতুর নির্মাণের জন্যে ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে দরপত্র আহ্বান করে কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়। কাজটি পান সিরাজগঞ্জ শহরের এসএস রোডের মেসার্স রফিকুল ইসলাম খান। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৩ লক্ষ ৬১ হাজার ৯৭৩ টাকা। সেতুর পুরো কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়ক না পেয়ে ব্যবহারে অযোগ্য হয়ে দীর্ঘদিন পরে ছিল সেতুটি। ২০২৪ সালের শুরুতে সংযোগ সড়ক স্থাপনের কাজ পুনরায়
চালু হলে গতি হয় সেতুটির। তবে সেতুর বর্ধিত অংশে মাটি ভরাট করে মূল রাস্তায় সংযোগ করতে গিয়ে দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা। গতকাল সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় সোনামুখী বাজার হতে হরিনাথপুর যাওয়ার পথে ব্রিজটির অবস্থান। ব্রিজের চ্লাপ হতে ১০ ফিট দূরত্বে একেবারে বাঁকা সরু হয়ে মূল সড়কের সংযোগ হাওয়ায় দেখা দিয়েছে প্রতিবন্ধকতা। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্রিজটির সংযোগ সড়ক স্থাপন করতে গিয়ে। ব্রিজের গার্ডার হতে সংযোগ সড়কের কিছু অংশ মালিকানা জায়গায় চলে যাওয়ায় এমন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা নির্মাণের জন্য জমির মালিক কে ১ লক্ষ টাকা প্রদান করলেও তারা নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছেন বলে এমন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
সোনামুখী ১নং ওয়ার্ড পাঁচগাছি গ্রামের ইউপি সদস্য মামুনুর রশিদ বলেন, সরকারি রাস্তা থাকা সত্ত্বেও ইঞ্জিনিয়ারের ভুলক্রমে ব্যক্তিগত মালিকানা জায়গায় নির্মাণ করায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। শুনেছি জমির মালিকে ২ লক্ষ টাকা দেয়ার কথা ছিল। এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করেছে। বাকি এক লক্ষ টাকা না পাওয়ায় রাস্তা নির্মাণে বাধা সৃষ্টি করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী বলেন, আমার নিজ তহবিল থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দিয়েছি, যেন রাস্তাটি হয়। তারপরেও জমির মালিক বেঁকে বসায় এমন প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি। সমস্যা নিরসনের স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কে বলা হয়েছে।
জমির মালিক আব্দুল মতিন বলেন, দুই জমির মালিক ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছি। বাকি টাকা না পেলে খালি খালি জমি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব না। এতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলে আমার কিছু করার নেই।
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসাইন জানান, এলজিডির রাস্তায় কখনো অধিগ্রহণ করা হয় না, তার পরেও জমির মালিক কে এক লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ওখানে কাজ করতে গেলে জমির মালিকরা মারমুখি আচরণ করে। সে কারণেই এভাবেই ঠিকাদার কাজ করতে বাধ্য হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।