লিমন খান কাজিপুর প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার,, পাঁচগাছি মধ্যচর পাড়ার মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সালেখা বেগমের একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের ষাঁড় গরু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।
গত রবিবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গোয়াল ঘরে পড়ে আছে বিশাল একটি ষাঁড় গরু। যার বাজার মূল্য প্রায় এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। মালিক সূত্রে জানা গেছে, ১০ থেকে ১৫ দিন আগে গরুটির মুখ দিয়ে লালা ঝরতে থাকে, এরপর স্থানীয় চিকিৎসক সজলকে খবর দিলে, গরুটি দেখে চিকিৎসা দিতে থাকেন। প্রথমে এফ এল কেয়ার ও বারসল ঔষধ খাওয়াতে বলেন। কয়েকদিন খাওয়াতে থাকলে কোন উন্নতি না হওয়ায়। তাকে আবারো ডেকে নিয়ে আসেন গরুর মালিক সালেখা বেগম সেদিন তাকে ৫০০ টাকা দেন। এরপর তিন দিনে নয়টি ইনজেকশন প্রয়োগ করেন। এরপর থেকে গরু আরও শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পারে গতকাল রবিবার সকালে গোয়াল ঘরে জিব্বায় কামড় দিয়ে গরুটি মারা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষাণী সালেখা বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে জানান, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গোয়াল ঘরে গরুটি দাঁড়িয়ে আছে। গরুকে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য পাশের বাড়ির একজনকে ডাকতে যাই। এসে দেখি গরুটি মারা গেছে। এর আগে ডাক্তার একসাথে নয়টি ইনজেকশন প্রয়োগ করে। সম্ভবত সে কারণেই গরুটি মারা যেতে পারে। আমি গরু লালন-পালন করে জীবিকা নির্বাহ করি। ডাক্তার আমার গরুকে নয়টি ইনজেকশন না দিলে হয়তো মারা যেত না। আমরা গরীব মানুষ কিভাবে বাঁচবো।
এ বিষয়ে পল্লী চিকিৎসক সজললের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন গরুটি ক্ষুরা রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। উপজেলা প্রাণিসম্পদের কর্মকর্তাদের সাথে পরামর্শ করে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। শুনলাম আজ সকালে গরুটি মারা গেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ভেটেনারি সার্জন মাহমুদুল হাসান জানান বিষয়টি শুনেছি তবে চিকিৎসকের গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি তদন্তের সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।